একটা সময় আমরা সবাই চুপ ছিলাম। ইচ্ছে করে নয়, কালো আইন, অপশাসনের বেড়াজালে বিপর্যস্ত না হবার শঙ্কায়। কথা বললেই হুমকি-ধামকি, লিখতে গেলে সাইবার আইনের খড়গ, আর ভিন্নমতকে সহিংসতা দিয়ে দমনের সময়টিতে জনমানুষের জবাব ছিল ‘নীরবতা’। সরব রাজনীতির মানুষেরা নিজেরাও দেশান্তরী হয়ে, গা ঢাকা দিয়ে বেড়িয়েছেন। পকেট বিরোধী পক্ষ সৃষ্টি করে, লালন পালন করে, ড্রয়িং রুম স্টাইলে মিডিয়া তৈরি করার সাথে সাথে নাগরিক সমাজেরও অল্টারনেটিভ দাঁড় করানো হয়েছিল। যে কথা বলবে সেও নিজের লোক, যে ছাপাবে সেও নিজের লোক, আর যদি কোন সমালোচনা করার থাকে সেও নিজেরই লোক। বিষয়টি একদমই আমরা আর মামুরা স্টাইলে চলেছে। এ এক কথিত জনমত ভ্যালিডেশনের স্বয়ংক্রিয় মেশিনের মতন। তাই যে কোনো হুকুমতি ন্যারেটিভ বাজারে আসার সাথে সাথেই সেটিকে অকাট্য আর ওহী লেভেলের প্রমাণ করার রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গকে উন্মত্ত হয়ে লেগে পড়তে দেখেছি।
আমরা বুঝতাম, যদিও নাগরিক হিসেবে কিছু বলতাম না। আর বাগধারার ছাপোষা মানুষেরা নাগরিক জীবনে মুখে কুলুপ এটে ধুম গরমে কের-কের শব্দ করা ফ্যানের নিচে সকালের আশায় ঘুমাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়লাম। এই যাপিত, বঞ্চিত, বাকহীন মানুষদের না ধরা হয় জীবনের দাম, না আছে মতামতের তোয়াক্কা। হ্যাঁ তবে সাধারণের লাশের দাম রাজনীতির বাজারে বেশ চড়া। তবে দাম তুলে নেয় কোনো না কোনো মহাজনই।